বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকেই চান তাদের খাবার পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হোক। এই চাহিদার সাথে তাল মিলিয়েই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে 'চিয়া সিড'।
চিয়া সিড মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া উদ্ভিদের বীজ। এটি মধ্য আমেরিকার অনেক অংশে পাওয়া যায়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতি একে তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করত। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো।
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ:
➡︎ প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
➡︎ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
➡︎ পটাশিয়াম
➡︎ ম্যাগনেশিয়াম
➡︎ আয়রন
➡︎ ক্যালসিয়াম
চিয়া সিডের উপকারিতা:
➡︎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
➡︎ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
➡︎ উচ্চমাত্রার প্রোটিন সরবরাহ করে
➡︎ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
➡︎ রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
➡︎ বর্জ্য পদার্থ বের করতে সাহায্য করে
➡︎ গ্যাসের সমস্যা কমায়
➡︎ ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে
➡︎ ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম:
➡︎ চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ নেই।
➡︎ সালাদ, কাস্টার্ড, স্মুদি, ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
➡︎ ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
➡︎ দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
চিয়া সিডের অপকারিতা:
➡︎ অতিরিক্ত খেলে প্রোটেস্ট ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
➡︎ পেটের সমস্যা হতে পারে।
➡︎ ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে।
➡︎ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার পূর্বে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রাকৃতিক খাবার সর্বদাই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।* চিয়া সিড প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। নিয়মিত ও সঠিকভাবে চিয়া সিড খেলে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব।
উক্তি:
"প্রকৃতিতে রোগের প্রতিষেধক রয়েছে, যদি আমরা কেবল এটি খুঁজে বের করতে পারি।" - হিপোক্রেটিস
"আমাদের খাবারই আমাদের ওষুধ।"