Post

সাতক্ষীরার হিমসাগর আম

আম হাতে পাবার পর কি করবেন ?
১. আম হাতে পাবার পরপরই যত দ্রুত সম্ভব ক্যারেট /বক্স থেকে বের করে ফেলতে হবে ।
২. সরাসরি মেঝেতে না রেখে পরিষ্কার খড়, চটের বস্তা বা পেপার বিছিয়ে তার উপরে আম রাখতে হবে ,কোন অবস্থায় আম মেঝেতে এক সাথে ডালবেন না । হাত দিয়ে একটা একটা করে রাখবেন ।
৩. আম রাখার সময় কোনোভাবেই যেন আমের কোনো অংশে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমের কোন অংশে আঘাত লাগলে সেই অংশ কালো হয়ে পচন ধরে ফলে আঘাতপ্রাপ্ত অংশ খাবার উপযোগী থাকে না ।
৪. ছায়া যুক্ত স্থানে যেখানে রোদ পরে না এমন স্থানে আম রাখতে হবে ।
৫. ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আম সংরক্ষণ করতে হবে।
৬. ভাল আম পাকার পরে হলুদ রঙ হবে, কখনো সাদা রঙ হবে না ।
৭. আম পেকেছে কিনা তা জানতে হাতে নিয়ে টিপে দেখা ঠিক না, নাকে শুকে পরীক্ষা করতে হয়।
৮. ভাল মিষ্টি আম কাচা অবস্থায় খুব বেশি টক থাকে। তাই আম পাকার সঠিক সময়ের আগে খেলে অবশ্যই টক লাগবে।
৯. আমের বোঁটার কাছে আমের যে আঠা জমে থাকে তা না ধুয়ে খেলে মুখ চুলকাতে পারে, এমনকি চুলকানোর স্থানে ঘা এর মতো হতে পারে। তবে এটা জটিল কিছু না বরং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেরে যায়।
১০. আম বহনের ক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহার করা মোটেই ঠিক নয়।
১১. আমের পরিমাণ বেশী হলে বাঁশের ঝুড়িতে আম বহন না করে শক্ত কাগজের কার্টুন, কাঠের বাক্স বা প্ল্যাস্টিকের ক্যারেট-এ বহন করা উচিৎ।
১২। আমে যেহেতু কোন প্রকার স্প্রে (ইথোফেন দেয়া নাই ) তাই এই আম পাকতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু যখন আম পাকা শুরু করবে তখন একসাথে সব আম পেকে যাবে। তাই প্রতিদিন আম ভালো করে পর্যবেক্ষন করে দেখবেন । কিন্তু হাত দিয়ে টিপে নয় নাকের কাছে নিয়ে শুখে দেখবেন
১৩। কিছু আম টক হতে পারে কারন গাছে সব আম একসাথে পরিপক্ক হয়না । তবে আশা করছি সব আম পাকিয়ে খেতে পারলে আমের আসল মজাটা পাবেন

Share this post